ইমতিয়াজ হাসনাইন
সৌরজগতের একমাত্র বাসযোগ্য গ্রহ পৃথিবীতে আমাদের বসবাস। কিন্তু পৃথিবীই কী একমাত্র গ্রহ যেখানে প্রাণের বিকাশ ঘটেছে? এত বড় মহাবিশ্বে আর কী কোন বাসযোগ্য অঞ্চল নেই? এসব প্রশ্ন হয়ত আমাদের অনেকের মাথায়ই ঘুরে ফিরে। নতুন পৃথিবীর খোঁজে বিজ্ঞানীরাও গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। সম্প্রতি নাসার বিজ্ঞানীরা পৃথিবী থেকে ৬০০ আলোকবর্ষ দূরে বাসযোগ্য নতুন গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন, যার নাম দেওয়া হয়েছে কেপলার ২২-বি। গ্রহটিতে প্রাণের অস্তিত্ব থাকার বাপারে বিজ্ঞানীরা খুবই আশাবাদী।
২০০৯ সালের মার্চ মাসে ৬০ কোটি ডলারের একটি বিশেষ উপগ্রহের সাহায্যে নাসা থেকে কেপলার নামক অত্যাধুনিক দূরবীক্ষণ যন্ত্রকে মহাকাশ পাঠানো হয়েছিল। সেই থেকে আজ পর্যন্ত কেপলার বিভিন্ন গ্রহ-নক্ষত্র পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনীয় তথ্য ও ছবি পৃথিবীতে পাঠাচ্ছে।এই কাজে আলোর সামান্য তারতম্য পরিমাপ করে বিভিন্ন গ্রহের আকৃতি ও প্রকৃতি নির্ধারণ করা হয়। এসব থেকে বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন গ্রহের অবস্থান,তাপমাত্রা,প্রকৃতি ও পরিবেশ প্রাণ ধারণের উপযোগী কিনা তা পর্যালোচনা করছেন। কেপলারের মাধ্যমে সন্ধান পাওয়া ১০৯৪টি গ্রহের মধ্যে ৪৮টি গ্রহে প্রাণ থাকতে পারে বলে বিজ্ঞানীরা অভিমত দিয়েছেন। এদের মধ্যে কেপলার ২২-বি হল সবার চেয়ে আলাদা।
এটি একটি জি টাইপ নক্ষত্র।আমাদের সূর্যের চেয়ে তুলনামূলক ভাবে এটি কিছুটা ছোট ও ঠাণ্ডা। নক্ষত্রটি সিগনাস মণ্ডলে অবস্থিত। কেপলার ২২-বি তার সূর্যের চারদিকে ঘুরতে ২৯০ দিন সময় নেয়।
পৃথিবী যেমন সৌরজগতের বাসযোগ্য অঞ্চলে অবস্থিত তেমনি কেপলার ২২-বি এর অবস্থানও তার সৌরজগতের বাসযোগ্য অঞ্চলে। সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব যত, কেপলার ২২-বি গ্রহটি তার নক্ষত্র থেকে এর ১৫% কম দূরত্বে অবস্থিত। আবার কেপলার ২২ নক্ষত্রের আলোক তীব্রতাও সূর্যের চেয়ে ২৫% কম। এই আনুপাতিক বিবরণ থেকে ধরা যায় পৃথিবীর সাথে গ্রহটির মিল রয়েছে। এছাড়া কেপলার ২২-বি এর আবর্তনকাল ২৯০ দিন যা পৃথিবীর অনেকটাই কাছাকাছি। গ্রহটির আনুমানিক গড় তাপমাত্রাও পৃথিবীর সাথে মিলসম্পন্ন। এতসব মিলের কারণে গ্রহটিতে প্রাণের অস্তিত্ব থাকার ব্যাপারে বিজ্ঞানীরা বেশ আশাবাদী। কোন গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব থাকার জন্য পানির উপস্থিতি অপরিহার্য। কেপলার আবিষ্কৃত যে গ্রহগুলোতে প্রাণ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে তাদের মধ্যে পৃষ্ঠে পানি থাকার ব্যাপারে সবচেয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে কেপলার ২২-বি, যা তাতে প্রাণ-প্রাচুর্যের সম্ভাবনার ইঙ্গিত বহন করে।
পৃথিবীর জনসংখ্যা যেভাবে বেড়ে চলেছে তাতে সুদূর ভবিষ্যতে হয়ত আমাদের একটি দ্বিতীয় বাসস্থানের প্রয়োজন দেখা দিবে। আমাদের সূর্যের জ্বালানীও একদিন শেষ হয়ে যাবে। তাই নতুন মহাজাগতিক বাসস্থানের কথা আমাদের এখন থেকেই চিন্তা করতে হবে। তো দেখা যাক, নতুন পৃথিবীর খোঁজে আমাদের অপেক্ষা আর কত দীর্ঘ হয়।
সৌরজগতের একমাত্র বাসযোগ্য গ্রহ পৃথিবীতে আমাদের বসবাস। কিন্তু পৃথিবীই কী একমাত্র গ্রহ যেখানে প্রাণের বিকাশ ঘটেছে? এত বড় মহাবিশ্বে আর কী কোন বাসযোগ্য অঞ্চল নেই? এসব প্রশ্ন হয়ত আমাদের অনেকের মাথায়ই ঘুরে ফিরে। নতুন পৃথিবীর খোঁজে বিজ্ঞানীরাও গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। সম্প্রতি নাসার বিজ্ঞানীরা পৃথিবী থেকে ৬০০ আলোকবর্ষ দূরে বাসযোগ্য নতুন গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন, যার নাম দেওয়া হয়েছে কেপলার ২২-বি। গ্রহটিতে প্রাণের অস্তিত্ব থাকার বাপারে বিজ্ঞানীরা খুবই আশাবাদী।
শিল্পীর চোখে কেপলার ২২-বি |
২০০৯ সালের মার্চ মাসে ৬০ কোটি ডলারের একটি বিশেষ উপগ্রহের সাহায্যে নাসা থেকে কেপলার নামক অত্যাধুনিক দূরবীক্ষণ যন্ত্রকে মহাকাশ পাঠানো হয়েছিল। সেই থেকে আজ পর্যন্ত কেপলার বিভিন্ন গ্রহ-নক্ষত্র পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনীয় তথ্য ও ছবি পৃথিবীতে পাঠাচ্ছে।এই কাজে আলোর সামান্য তারতম্য পরিমাপ করে বিভিন্ন গ্রহের আকৃতি ও প্রকৃতি নির্ধারণ করা হয়। এসব থেকে বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন গ্রহের অবস্থান,তাপমাত্রা,প্রকৃতি ও পরিবেশ প্রাণ ধারণের উপযোগী কিনা তা পর্যালোচনা করছেন। কেপলারের মাধ্যমে সন্ধান পাওয়া ১০৯৪টি গ্রহের মধ্যে ৪৮টি গ্রহে প্রাণ থাকতে পারে বলে বিজ্ঞানীরা অভিমত দিয়েছেন। এদের মধ্যে কেপলার ২২-বি হল সবার চেয়ে আলাদা।
কেপলার ২২-বি গ্রহটি আয়তনে
পৃথিবীর প্রায় আড়াই গুন। গ্রহটির তাপমাত্রা সম্পর্কে তিনটি দশা অনুমান করা হয়েছে,
- · যদি গ্রহটিতে বায়ুমণ্ডল অনুপস্থিত থাকে তবে গ্রহটির গড় তাপমাত্রা -১১ ডিগ্রী সেলসিয়াস হবে।
- · যদি গ্রহটিতে বায়ুমণ্ডল থাকে এবং ঐ গ্রহের গ্রীনহাউস প্রতিক্রিয়া পৃথিবীর সাথে মিলসম্পন্ন হয় তবে তাপমাত্রা হবে ২২ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
- · যদি গ্রহটিতে বায়ুমণ্ডল থাকে এবং ঐ গ্রহের গ্রীনহাউস প্রতিক্রিয়া শুক্র গ্রহের সাথে মিলসম্পন্ন হয় তবে তাপমাত্রা হবে ৪৬০ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
এটি একটি জি টাইপ নক্ষত্র।আমাদের সূর্যের চেয়ে তুলনামূলক ভাবে এটি কিছুটা ছোট ও ঠাণ্ডা। নক্ষত্রটি সিগনাস মণ্ডলে অবস্থিত। কেপলার ২২-বি তার সূর্যের চারদিকে ঘুরতে ২৯০ দিন সময় নেয়।
পৃথিবী যেমন সৌরজগতের বাসযোগ্য অঞ্চলে অবস্থিত তেমনি কেপলার ২২-বি এর অবস্থানও তার সৌরজগতের বাসযোগ্য অঞ্চলে। সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব যত, কেপলার ২২-বি গ্রহটি তার নক্ষত্র থেকে এর ১৫% কম দূরত্বে অবস্থিত। আবার কেপলার ২২ নক্ষত্রের আলোক তীব্রতাও সূর্যের চেয়ে ২৫% কম। এই আনুপাতিক বিবরণ থেকে ধরা যায় পৃথিবীর সাথে গ্রহটির মিল রয়েছে। এছাড়া কেপলার ২২-বি এর আবর্তনকাল ২৯০ দিন যা পৃথিবীর অনেকটাই কাছাকাছি। গ্রহটির আনুমানিক গড় তাপমাত্রাও পৃথিবীর সাথে মিলসম্পন্ন। এতসব মিলের কারণে গ্রহটিতে প্রাণের অস্তিত্ব থাকার ব্যাপারে বিজ্ঞানীরা বেশ আশাবাদী। কোন গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব থাকার জন্য পানির উপস্থিতি অপরিহার্য। কেপলার আবিষ্কৃত যে গ্রহগুলোতে প্রাণ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে তাদের মধ্যে পৃষ্ঠে পানি থাকার ব্যাপারে সবচেয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে কেপলার ২২-বি, যা তাতে প্রাণ-প্রাচুর্যের সম্ভাবনার ইঙ্গিত বহন করে।
পৃথিবীর জনসংখ্যা যেভাবে বেড়ে চলেছে তাতে সুদূর ভবিষ্যতে হয়ত আমাদের একটি দ্বিতীয় বাসস্থানের প্রয়োজন দেখা দিবে। আমাদের সূর্যের জ্বালানীও একদিন শেষ হয়ে যাবে। তাই নতুন মহাজাগতিক বাসস্থানের কথা আমাদের এখন থেকেই চিন্তা করতে হবে। তো দেখা যাক, নতুন পৃথিবীর খোঁজে আমাদের অপেক্ষা আর কত দীর্ঘ হয়।
চালিয়ে যাও........
উত্তরমুছুনএই মন্তব্যটি লেখক দ্বারা সরানো হয়েছে।
উত্তরমুছুন